Work From Home

How To Earn From Whatsapp: হোয়াটসঅ্যাপ থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায়: ধাপে ধাপে গাইড

আজকের ডিজিটাল যুগে Whatsapp শুধু চ্যাট করার মাধ্যম নয়, বরং একটি সেকেন্ড ইনকাম তৈরির সহজ পথ! অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করে আপনি ঘরে বসেই টাকা আয় করতে পারেন—একদম ফ্রি তে।

How To Earn From Whatsapp – আজকের ডিজিটাল যুগে ঘরে বসে টাকা আয় করার অনেক সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যে Whatsapp থেকে টাকা আয় করা একটি জনপ্রিয় এবং সহজ উপায়। Whatsapp আমরা সবাই ব্যবহার করি বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করতে, ছবি শেয়ার করতে বা গ্রুপে আড্ডা দিতে। কিন্তু জানেন কি, এই Whatsapp ব্যবহার করে আপনি প্রতি মাসে একটি সেকেন্ড ইনকাম জেনারেট করতে পারেন?

Whatsapp Channel Join
Telegram Channel Join

হ্যাঁ, একদম ঠিক শুনেছেন! এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব কীভাবে Whatsapp থেকে টাকা আয় করা যায়, কী কী ধাপ ফলো করতে হবে, এবং কীভাবে আপনি এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক!

How To Earn From Whatsapp?

Whatsapp থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)। এটি এমন একটি পদ্ধতি, যেখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করবেন, এবং কেউ সেই লিংক থেকে কিছু কিনলে আপনি কমিশন পাবেন।

এই কমিশন সাধারণত ৩.৫% থেকে ১০% পর্যন্ত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, অ্যামাজনের (Amazon) মতো প্ল্যাটফর্মে আপনি তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে প্রোডাক্টের লিংক শেয়ার করতে পারেন। আপনার Whatsapp গ্রুপে বা বন্ধুদের কাছে এই লিংক শেয়ার করলে, কেউ কিনলে আপনি কমিশন পাবেন—একদম কোনো খাটনি ছাড়াই!

Read More:- বাড়ি বসে পার্ট টাইম কাজের সুযোগ! প্রতিমাসে ১ লাখ টাকা আয়।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমি শুধুমাত্র কিছু (How To Earn From Whatsapp) লিংক শেয়ার করে গত এক বছরে ৩২২ টাকা আয় করেছি। এটা খুব বেশি নয়, তবে আমি কোনো পরিশ্রম করিনি। শুধু লিংক শেয়ার করেছি, আর টাকা এসেছে। আপনার যদি একটু বেশি অডিয়েন্স থাকে, তাহলে এই আয় অনেক বেশি হতে পারে।

কেন Whatsapp দিয়ে টাকা আয় করবেন?

Whatsapp একটি ফ্রি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনার বন্ধু, পরিবার, বা পরিচিত মানুষদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ করতে পারেন। এটি ব্যবহার করে টাকা আয় করার কিছু সুবিধা হলো:

কোনো খরচ নেই: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) শুরু করতে আপনাকে কোনো টাকা ইনভেস্ট করতে হবে না।

  • সহজ পদ্ধতি: শুধু লিংক শেয়ার করলেই হয়, কোনো টেকনিক্যাল জ্ঞানের প্রয়োজন নেই।
  • ফ্লেক্সিবল সময়: আপনি যখন খুশি, যেখান থেকে খুশি কাজ করতে পারেন।
  • Passive Income: একবার লিংক শেয়ার করলে, সেটা থেকে বারবার আয় হতে পারে।
  • বিশাল অডিয়েন্স:  Whatsapp গ্রুপ বা চ্যানেলের মাধ্যমে অনেক মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়।

Whatsapp থেকে টাকা আয় করার ধাপগুলো

এখন আমরা ধাপে ধাপে দেখব কীভাবে আপনি Whatsapp ব্যবহার করে টাকা আয় করতে পারেন।

১. অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন

প্রথম ধাপ হলো একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে (How To Earn From Whatsapp) যোগ দেওয়া। অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস প্রোগ্রাম (Amazon Associates Program) এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এছাড়াও ফ্লিপকার্ট (Flipkart), মিন্ত্রা (Myntra), বা অন্যান্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারেন।

অ্যামাজনের (Amazon) ক্ষেত্রে: সাইন আপ করুন: অ্যামাজনের (Amazon) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে “Amazon Associates” পেজে যান। সেখানে “Sign Up” বাটনে ক্লিক করে আপনার ইমেইল বা ফোন নম্বর দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।

ভেরিফিকেশন: ইমেইল বা ফোন নম্বরে পাঠানো OTP ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করুন।

প্রোফাইল সেটআপ: আপনার নাম, ঠিকানা, এবং ব্যাংক ডিটেইলস দিয়ে প্রোফাইল কমপ্লিট করুন। এরপর অ্যামাজন আপনার অ্যাকাউন্ট রিভিউ করবে এবং অনুমোদন দেবে।

২. সঠিক প্রোডাক্ট বাছাই করুন – How To Earn From Whatsapp?

অ্যামাজনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রোডাক্টে বিভিন্ন হারে কমিশন দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ:

  • কিচেন এবং হোম ইমপ্রুভমেন্ট: ৯% কমিশন।
  • বিউটি এবং অ্যাপারেল: ১০% পর্যন্ত কমিশন।
  • ইলেকট্রনিক্স: ৩.৫% কমিশন।
  • মোবাইল ফোন: ১% কমিশন।
  • আইফোন: কোনো কমিশন নেই।

আপনার অডিয়েন্সের চাহিদা বুঝে প্রোডাক্ট বেছে নিন। যেমন, যদি আপনার Whatsapp গ্রুপে গৃহিণীরা (Housewives) বেশি থাকেন, তাহলে কিচেনের প্রোডাক্ট (How To Earn From Whatsapp) বা হোম ডেকোর শেয়ার করুন। যদি তরুণরা থাকেন, তাহলে হেডফোন বা মোবাইল অ্যাকসেসরিজ শেয়ার করতে পারেন।

৩. অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করুন -How To Earn From Whatsapp?

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস অ্যাকাউন্টে লগইন করে যেকোনো প্রোডাক্টের পেজে যান। সেখানে “Get Link” অপশন ব্যবহার করে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি করুন। এই লিংকটি হবে আপনার ইউনিক লিংক, যা ট্র্যাক করবে কেউ আপনার লিংক থেকে কিনছে কি না।

উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনি একটি ৭৩১৩ টাকার মনিটরের লিংক শেয়ার করলেন। এটি ইলেকট্রনিক্স ক্যাটাগরির প্রোডাক্ট, তাই ৩.৫% কমিশন পাবেন। অর্থাৎ, কেউ কিনলে আপনি প্রায় ২৫৬ টাকা কমিশন পাবেন।

Create Amazon Affiliate Account

৪. Whatsapp-এ লিংক শেয়ার করুন

এখন আসল কাজ—লিংক শেয়ার করা। আপনি এই লিংকগুলো শেয়ার করতে পারেন:

Whatsapp গ্রুপ: আপনার বন্ধুদের, পরিবারের, বা কমিউনিটির (How To Earn From Whatsapp) গ্রুপে লিংক শেয়ার করুন। গ্রুপে শেয়ার করার সময় আকর্ষণীয় ক্যাপশন লিখুন, যেমন: “এই কিচেন প্রোডাক্টটি এখন ডিসকাউন্টে পাওয়া যাচ্ছে! এখনই কিনুন এই লিংক থেকে।”

ব্রডকাস্ট লিস্ট: Whatsapp-এ চ্যানেল লিস্ট তৈরি করে একসঙ্গে অনেক মানুষের কাছে লিংক পাঠান।

স্ট্যাটাস: Whatsapp স্ট্যাটাসে প্রোডাক্টের ছবি বা ছোট ভিডিওর সঙ্গে লিংক শেয়ার করুন।

ব্যক্তিগত চ্যাট: আপনার পরিচিতদের সঙ্গে চ্যাটে লিংক শেয়ার করুন, বিশেষ করে যদি তারা কোনো প্রোডাক্ট সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে।

৫. ফ্রি গ্রুপে যোগ দিন – How To Earn From Whatsapp?

যদি আপনার নিজের কোনো গ্রুপ না থাকে, তাহলে ফেসবুক বা টেলিগ্রামের ফ্রি গ্রুপে যোগ দিন। এই গ্রুপগুলোতে শপিং, ডিসকাউন্ট, বা প্রোডাক্ট রিভিউ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে আপনার লিংক শেয়ার করুন। তবে, স্প্যাম করবেন না। সুন্দরভাবে প্রোডাক্টের বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করে লিংক শেয়ার করুন।

৬. সেল ট্র্যাক করুন এবং পেমেন্ট নিন

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস ড্যাশবোর্ডে (How To Earn From Whatsapp) আপনি আপনার আর্নিং ট্র্যাক করতে পারবেন। এখানে দেখতে পাবেন

  • কতজন আপনার লিংক থেকে প্রোডাক্ট দেখেছে।
  • কতজন কিনেছে।
  • কত টাকা কমিশন জমা হয়েছে।

মাস শেষে অ্যামাজন আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট পাঠিয়ে দেবে। সাধারণত ৬০ দিন পর পেমেন্ট প্রসেস হয়, কারণ অ্যামাজন রিটার্ন পিরিয়ডের জন্য অপেক্ষা করে।

Whatsapp থেকে টাকা আয় করার টিপস

অডিয়েন্স তৈরি করুন: Whatsapp গ্রুপে বা ব্রডকাস্ট লিস্টে বেশি মানুষ যোগ করুন। পরিচিতদের আমন্ত্রণ জানান।

আকর্ষণীয় কন্টেন্ট: শুধু লিংক শেয়ার করলে হবে না। প্রোডাক্টের বৈশিষ্ট্য, দাম, বা ডিসকাউন্ট সম্পর্কে ছোট বর্ণনা দিন।

সঠিক সময়ে শেয়ার করুন: পুজো, দীপাবলি, বা অন্যান্য উৎসবের সময় মানুষ বেশি কেনাকাটা করে। এই সময়ে লিংক শেয়ার করলে বেশি সেল হওয়ার সম্ভাবনা।ট্রাস্ট বিল্ড করুন: আপনার অডিয়েন্সের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখুন। তাদের কাছে নির্ভরযোগ্য হিসেবে পরিচিত হন।

উচ্চ কমিশনের প্রোডাক্ট বেছে নিন: যেসব প্রোডাক্টে ৮-১০% কমিশন আছে, সেগুলো প্রমোট করুন।

কেন এখনই শুরু করবেন? – How To Earn From Whatsapp?

আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, Whatsapp থেকে টাকা আয় করা শুরু করা খুবই সহজ। আমি যখন প্রথম শুরু করি, তখন আমারও তেমন কোনো ফলোয়ার ছিল না। কিন্তু ধীরে ধীরে আমার গ্রুপ বড় হয়েছে, আর আয়ও বেড়েছে। এই পদ্ধতি আপনাকে শুধু টাকা আয়ই নয়, একটি নতুন দক্ষতাও শেখাবে। আপনি যদি চাকরি করেন, ছাত্র হন, বা গৃহিণী হন, তাহলেও এই কাজ আপনার জন্য।

একটি ছোট শুরু আপনার জীবন বদলে দিতে পারে। আজই অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটসে (How To Earn From Whatsapp) সাইন আপ করুন, একটি Whatsapp গ্রুপ তৈরি করুন, এবং লিংক শেয়ার শুরু করুন। কে জানে, হয়তো কয়েক মাস পর আপনিও আমার মতো বলবেন, “আমি কোনো খাটনি ছাড়াই টাকা আয় করছি!”

আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরও টিপস জানতে চান, তাহলে কমেন্টে জানান। আর এই ধরনের আরও টিপস পেতে আমাদের ব্লগ সাবস্ক্রাইব করুন। আপনার আয়ের যাত্রা শুরু হোক এখনই!

FAQ – How To Earn From Whatsapp?

১. Whatsapp থেকে টাকা আয় করতে কি কোনো ইনভেস্টমেন্ট লাগে?

না, কোনো ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন নেই। অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস বা অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে সাইন আপ করা একদম ফ্রি। আপনার শুধু একটি স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট কানেকশন দরকার।

২. আমার কোনো ফলোয়ার বা গ্রুপ না থাকলে কি করব?

আপনি ফ্রি ফেসবুক বা টেলিগ্রাম গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। এছাড়া, আপনার বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করে শুরু করতে পারেন। ধীরে ধীরে গ্রুপ তৈরি করুন।

৩. কত টাকা আয় করা সম্ভব?

এটা নির্ভর করে আপনার অডিয়েন্সের সাইজ এবং আপনি কতটা একটিভ। যদি আপনার বড় গ্রুপ থাকে, তাহলে মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আমার মতো ছোট শুরু করলেও প্রতি মাসে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করা সম্ভব।

৪. পেমেন্ট কীভাবে পাব?

অ্যামাজন আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পেমেন্ট পাঠাবে। সাধারণত মাস শেষে ৬০ দিন পর পেমেন্ট প্রসেস হয়।

৫. অ্যাফিলিয়েট লিংক কি নিরাপদ?

হ্যাঁ, অ্যামাজনের (Amazon) অ্যাফিলিয়েট লিংক সম্পূর্ণ নিরাপদ। এটি অরিজিনাল প্রোডাক্ট লিংকের মতোই, শুধু আপনার ট্র্যাকিং কোড যোগ করা থাকে। কাস্টমারকে কোনো অতিরিক্ত টাকা দিতে হয় না।

৬. কোন প্রোডাক্ট বেশি বিক্রি হয়?

কিচেন প্রোডাক্ট, হোম ডেকোর, ফ্যাশন আইটেম, এবং মোবাইল অ্যাকসেসরিজ সাধারণত বেশি বিক্রি হয়। উৎসবের সময় ডিসকাউন্ট অফার থাকলে সেল আরও বাড়ে।

WB Tathya

WB Tathya is a trusted multi-platform community — YouTube channel, website, Facebook page, Instagram, and X — sharing free work-from-home job updates, online earning tips, and the best skill suggestions to help you get better jobs. With 6 years of experience working in the digital and social media space, we are dedicated to guiding you towards the right opportunities and reliable information.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button